জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই জিসানই রাজধানীবাসীর এক সময়কার আতঙ্কের নাম ছিলেন। তার নাম শুনলে আঁতকে উঠতেন অনেকে।
তবে জিসান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে ছাড়াতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে তার সহযোগীরা।
জিসানকে মুক্ত করতে সহযোগিতা করছে দুবাইয়ে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী টিএনটি নাদিম। এরইমধ্যে সে এরাবিয়ান সিআইডির সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।
নাদিম ছাড়াও, হত্যা মামলার আসামী শাকিলসহ বেশ কয়েকজন চেষ্টা করছে জিসানকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে।
জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার সময় জিসানের হাতে ছিল ভারতীয় পাসপোর্ট। সেখানে তার নাম লেখা ছিল আলী আকবর চৌধুরী। পরে এনসিবি ঢাকা আর এনসিবি দুবাই মিলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয় গ্রেপ্তার এই আলী আকবর চৌধুরীই বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক দশকে দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের অন্যতম হলেন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ওই সব এলাকার সরকারি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন তিনি। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।
২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেন। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।
সূত্র জানায়, সে সময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।
সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে।
জিসানের পুরো নাম জিসান আহমেদ মন্টি। তিনি ১৯৭০ সালে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। একসময় ঢাকায় এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে উঠেছিল তার। যাদের নাম শুনলে ভয়ে তটস্ত থাকত সবাই। দিনে-দুপুরে তারা চাঁদা চেয়ে চিরকুট পাঠাতো। সঙ্গে পাঠাতো কাফনের কাপড়। অনেকেই নীরবে দাবিকৃত সেই চাঁদা দিয়ে দিত। না দিলে জীবন দিতে হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুবাইয়ে শীর্ষসন্ত্রাসী জিসানের দুটি রেস্টুরেন্ট আছে; আছে গাড়ির ব্যবসাও। এসব দেখভাল করেন তার ছোট ভাই শামীম এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাকিল মাজহার। এর মধ্যে শাকিল মাজহার যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসম্পাদক রাজিব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে দুবাই চলে যান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।