জুমবাংলা ডেস্ক : যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে ঠিকাদারি করে আসা এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের সম্পদের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়েছে ব্যাংকসহ ১২টি সংস্থা। এসব সংস্থার কাছ থেকে তাঁর সম্পদের তথ্যসংবলিত দুই হাজার নথি গতকাল মঙ্গলবার সিআইডি পেয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, তাঁদের হাতে আসা এসব নথিতে জি কে শামীমের হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য রয়েছে। তাঁরা ওই সব নথি দেখে সম্পদের তালিকা করার কাজ শুরু করেছেন।
জি কে শামীমের সম্পদের পাহাড় : অবৈধ ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর জি কে শামীমের নাম আলোচনায় আসে। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতন থেকে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই দিনই একই এলাকায় তাঁর ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্স অ্যান্ড কম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে র্যাব অভিযান চালায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার কাগজপত্র। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর শামীমের মায়ের নামে, বাকিটা তাঁর নিজের নামে করা। এ ছাড়া নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার ও ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র ও মদও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর সাত দেহরক্ষীকে। শামীমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক আইনে তিনটি মামলা হয়েছে গুলশান থানায়। মানি লন্ডারিং বা অর্থপাচারের মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। এর মধ্যে তাঁকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জি কে শামীম।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তাঁর সম্পদের তালিকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ ১২টি সংস্থার কাছ থেকে দুই হাজার নথি পেয়েছে সিআইডি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ গতকাল বিকালে বলেন, ‘আমরা কয়েকটি সংস্থার কাছে জি কে শামীমের সম্পদের তথ্য চেয়েছিলাম। সেখান থেকে তথ্য এসেছে। আমরা এখন এগুলো যাচাই-বাছাই করব।’
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, জি কে শামীমের সম্পদের যে তথ্য এসেছে তাতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সেই সম্পদের কতটা বৈধ কতটা অবৈধ তা তদন্ত করে দেখা হবে। যে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো এখন তালিকা করে জি কে শামীমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মেলানো হবে। গরমিল পাওয়া গেলে সেসব সম্পদের বিষয়ে জানার জন্য তাঁকে আবারও রিমান্ডে আনা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।