নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে চলছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-কিন্তু এবার সেই টিকাদান কর্মসূচি পরিণত হয়েছে এক আনন্দমুখর উৎসবে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বালীগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সামসুন নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে শিশুদের হাতে জুস ও চকলেট তুলে দেওয়া হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ.কে.এম ফজলুল হক মিলনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় দুই বিদ্যালয়ের প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী। টিকা নেওয়ার আগে জুস ও চকলেট হাতে পেয়ে শিশুরা উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে, পুরো পরিবেশ যেন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুদের টিকা নেওয়ার ভয় কাটাতেই এমন আনন্দঘন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে শিশুদের উপস্থিতি বেড়েছে এবং টিকাদান কার্যক্রমও আরও গতিশীল হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন উৎসবমুখর এ আয়োজন ঘিরে।
এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) কালীগঞ্জ আর.আর.এন. পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম কামরুল ইসলাম।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে শুরু হওয়া এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ৪৫ হাজার ৫০০ শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৮২ হাজার ৮২১ জন শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী স্কুল ও স্কুলবহির্ভূত শিশুদের এ টিকার আওতায় আনা হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে ১০ দিনে ১০টি কেন্দ্র এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৮টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, টাইফয়েড প্রতিরোধে এই টিকা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তারা অভিভাবকদের সন্তানদের নির্ধারিত সময়ে টিকা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অভিভাবক ও শিক্ষকরা বলেন, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দেওয়া হলে শিশুরা টিকার গুরুত্ব সহজে বুঝতে পারে এবং ভয়ও কাটে। এটি ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কালীগঞ্জের এই টিকাদান কার্যক্রম এখন শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্যোগ নয়-বরং এটি শিশুদের আনন্দ, অংশগ্রহণ ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।