চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও তার সহকর্মীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে জোরারগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন নুর উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।
সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম এবং বাদী নুর উল্লাহ পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। সাইফুল ইসলামের দাবী হামলার সময় তিনি এবং সহকর্মী রাব্বী চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন।
২৩ আগস্ট রাত আনুমানিক সোয়া নয়টার দিকে মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার পশ্চিম কাটাছড়ার খুচ্চনা গাছতলায় নুর উল্লাহর ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। নুর উল্লাহ দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে তার ওপর হামলা হয়। তিনি জোরারগঞ্জের পশ্চিম কাটাছড়ার হাজী শফিউল্লাহ ডিলারের ছেলে।
হামলার দুইদিন পর ২৫ আগস্ট নুর উল্লাহ জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম,তার অফিস স্টাফ রাব্বি, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হায়দার রাজু ও সাইফুলের পারিবারিক কাজে ভাড়ায় ব্যবহৃত সিএনজি ড্রাইভার শাহ আলমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে ১ নম্বর আসামী করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, হামলার সময় আমি ওই এলাকাতেই ছিলাম না। আমি চট্টগ্রামে নিজের বাসায় ছিলাম, রাব্বীও এই সময় চট্টগ্রাম শহরে ছিল । আরেক আসামী আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হায়দার রাজু তার বাড়িতেই ছিলেন। আমি এবং আমার স্টাফ রাব্বীর ওই সময়ের অবস্থান যার যার অবস্থানকালীন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী সাইফুলের পার্টনার ছিল। সেই ব্যবসায়ী তার লভ্যাংশের বাইরেও আরও অর্থ হাতিয়ে নিতে বেশ কয়েকদিন ধরে সাইফুলকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এই মামলায় সাইফুলকে জড়াতে তার ইন্ধন থাকতে পারে।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিবেশী নুর উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয় এবং এতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে আসামী করা হয়েছে। হামলায় আহত হওয়ার পরে কারো প্ররোচণায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাকে হয়রানি করতে আমার নাম দেওয়া হয়েছে। নুর উল্লাহর সঙ্গে একটা সম্পত্তি (দীঘি) নিয়ে জটিলতা রয়েছে ,আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তা সমাধানের জন্য আইনের আশ্রয়ে নিয়েছি,যা চলমান।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন মামুন বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যারা নুর উল্লাহর ওপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। একই সঙ্গে নিরাপরাধ কাউকে অভিযুক্ত করা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।