লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে একটু জ্বর হলেই আতঙ্কিত হয়ে অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে রোগীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। জ্বর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে নিষেধ করেছেন তারা।
এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) দেশে একদিনে রেকর্ড ৮২০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময় মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, এখন সর্দি জ্বর হলেই রোগীরা অস্থির হয়ে যান। ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসকরাও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। রোগটি সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু, শনাক্ত করেন না। অবশ্যই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা করাতে হবে। ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। না হলে মৃত্যুঝুঁকি থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখানে নিশ্চিত ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন কোনো উপকারে আসবে না। অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসময় তিনি সাধারণ জ্বরেও ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ডেঙ্গু পজিটিভ হলেও প্রথমে শনাক্ত হচ্ছে না। হয়তো ওষুধ খেয়ে সাময়িকভাবে জ্বর কমেছে। কিন্তু রোগ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ না খাওয়ায় উলটো ফল হচ্ছে। ডেঙ্গুর সঙ্গে যখন সেকেন্ডারি ইনফেকশন দেখা দেয় (কোমরবিডিটি বা মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেট্রি) তখন চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। তবে জ্বর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।