জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যুবদল ও কৃষক দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মহাসড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দু’পক্ষের সশস্ত্র মহড়ার ভিডিও ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিকের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলা হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তাসংলগ্ন বেড়াইদেরচালা এলাকায় অবস্থিত এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড কারখানার সামনে মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মালিকপক্ষ থেকে ওই কারখানার ঝুটের ব্যবসা দেওয়া হয় গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসএম পলাশ চঞ্চলকে। ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে ‘চঞ্চল এন্টারপ্রাইজ’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ঝুট বের করার প্রস্তুতি নেন পলাশ। এ খবর পেয়ে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল কালামের কর্মী-সমর্থকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। ঝুটবোঝাই ট্রাক আটকে দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকেন। সবার হাতেই ছিল লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র। এ সময় ফাঁকা গুলিও ছোড়েন তারা। ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে সাধারণ মানুষ। পরে যুবদল নেতা পলাশের লোকজনও সাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে দফায় দফায়। মহাসড়কের বেশ কয়েকটি যানবহনও ভাঙচুর করা হয়।
যুবদল নেতা পলাশ চঞ্চল বলেন, ‘কৃষক দল নেতা আবুল কালামের লোকজন সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমার ঝুটের গাড়ি আটকে দেয়। আমার লোকজনকে মারধর করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আমার অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তারা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলেছে।’
খবর পেয়ে যমুনা টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি হোসাইন বাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সশস্ত্র মহড়ার ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়। সাংবাদিক হোসাইন বাবু বলেন, ‘কৃষক দলের কালামের লোকজন আমাকে ডেকে নিয়ে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে মোবাইল ফোন থেকে সব ভিডিও ডিলিট করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয় দফায় আবারও তারা আক্রমণ ও লাঞ্ছিত করেন।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এসএম আবুল কালাম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সকাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করছি। এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। ঝুট নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে শুনেছি। একটি পক্ষ আমার নাম সেখানে ব্যবহার করছে। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক সেখানে যাননি।’
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।