নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীর সাহেরা মার্কেটে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি গুদামমালিক মো. সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব–১)। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর সোলায়মানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব–১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাঁকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সোলায়মান (৪৮) নোয়াখালীর চাটখিল থানার মানিকপুর গ্রামের মৃত মাহমুদুল্লাহর ছেলে।
র্যাব–১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহেরা মার্কেটে সোলায়মানের মালিকানাধীন ‘ফেমাস কেমিক্যাল’ নামের একটি রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক জান্নাতুল নাঈম, ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ, নূরুল হুদা এবং পাশের দোকানের কর্মচারী বাবু অগ্নিদগ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনই মারা যান।
ঘটনার সাত দিন পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে টঙ্গী পূর্ব থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকেই গুদামমালিক সোলায়মান পলাতক ছিলেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব–১ সোলায়মানকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।”
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, জনবহুল এলাকাগুলোতে বিপজ্জনক রাসায়নিক গুদাম কীভাবে অনুমোদন পায় এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারি কতটা কার্যকর হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।