গ্লেসিয়ার এবং পারমাফ্রস্ট পৃথিবীর প্রাকৃতিক ফ্রিজার।
হাজার হাজার বছর আগের মৃতদেহগুলো অনেকটা অক্ষত অবস্থায় বরফে চাপা পড়ে আছে।
বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে গ্লেসিয়ার এবং পারমাফ্রস্টগুলো গলতে শুরু করেছে।
ফলে হাজার হাজার বছরের পুরনো মৃতদেহগুলো উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে।
প্রাণীগুলো মৃত অবস্থায় থাকলেও ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সুপ্ত অবস্থায়।
ফলে, বরফ গলার সাথে সাথে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবন্ত হতে শুরু করেছে।
বিজ্ঞানীরা এইসব অনুজীবদের নাম দিয়েছেন টাইম ট্রাভেল ভাইরাস।
২০১৫ সালে চীন ও আমেরিকার একটি গবেষকদল তিব্বতের গলিত গ্লেসিয়ারের ওপর গবেষণা চালান।
১৫০০০ বছরের পুরনো গ্লেসিয়ারে তারা ১৫৪ ফিট গভীর গর্ত করে নমুনা সংগ্রহ করেন।
পরবর্তীতে ল্যাবের পরীক্ষায় নমুনায় মোট ৩৩ ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ২৮ টি ভাইরাস আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে একদম নতুন।
২০১৬ সালে সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে ১২ বছরের এক বালকের মৃত্যু ঘটে।
সাথে বেশ কিছু মানুষও হাসপাতালে ভর্তি হন।
এরা মূলত বরফের জমাটবদ্ধ হয়ে থাকা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছিল।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা আলাস্কায় পারমাফ্রস্টে পারদের মজুদ খুঁজে পেয়েছেন।
যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর।
উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গলবে পৃথিবীর সব গ্লেসিয়ার আর পারমাফ্রস্ট।
পানিতে মিশে যাবে এসব ভাইরাস আর ক্ষতিকর পদার্থ।
ফলে সহজেই আক্রান্ত হবে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী।
মাত্র একটি ভাইরাস করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সর্বশক্তি ব্যর্থ হচ্ছে।
একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক ভাইরাসের আক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি কেমন হবে?
জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের একটি গণবিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে বৈশ্বিক উষ্ণতার লাগাম টেনে না ধরলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।