জুমবাংলা ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন সিডরে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় কচা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে প্রায় ৭২ জনের প্রাণহানী ঘটেছিল। মানুষের মন থেকে আজও মুছে যায়নি সেই আতংক। তারপরও এখন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মহাবিপদ সংকেত শুনেও সাইক্লোন সেল্টারে যেতে গড়িমসি করছে নদী ও চরের সেই বাসিন্দারা। অবশেষে ইউএনওর আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণায় অবশেষে আশ্রয়স্থলে যেতে রাজি হন তারা।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দমকা বাতাস ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বুধবার হাজির হন উপকূলীয় এলাকায়। কচানদীর মধ্যে সাঈদখালী চরের পাঁচ শতাধিক মানুষকে বুঝিয়ে সাইক্লোন সেল্টারে উঠিয়ে দেন। এ সময় বাসিন্দাদের শুকনো খাবারসহ ৫০০ টাকা করে প্রণোদনার আশ্বাস দেন তিনি।
ইউএনওর প্রণোদনার ঘোষণা পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা কলারন জাপানি ব্রাক, টগড়া সাইক্লোন সেল্টারসহ ১৯ টি সাইক্লোন সেল্টারে উঠতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে এ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও দমকা বাতাস বইছে। এছাড়া কচা ও বলেশ্বর নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট বেড়ে গেছে। তলিয়ে গেছে চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামসহ নদী তীরবর্তী টগড়া, খোলপটুয়া এলাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় এ উপজেলায় ১৯ টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। অথচ চর ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে রাজি হচ্ছিল না। পরে তাদের প্রণোদনার ঘোষণা দিলে তারা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।