জুমবাংলা ডেস্ক : গৃহবধূকে টানা তিন দিন ধরে পালা করে ধ’র্ষণ এবং থানায় তাদের একজনের সঙ্গে ওই গৃহবধূকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘন্টুর অফিসেই ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধ’র্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে টেবুনিয়া খাদ্যগুদাম এলাকা থেকে মামলার চার নম্বর আসামি শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘন্টুকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই খাদ্যগুদামের পেছনে ঝন্টুর অফিস, যেখানে ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধ’র্ষণ করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।’
জানা যায়, ঝন্টুর বৈধ কোনো ব্যবসা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘন্টুর ওই অফিসে তবে কী কাজ হয় সে বিষয়ে পুলিশ এখনো কোনো ধারণা পায়নি।
তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর অভিযোগ, গত ২৯ আগস্ট তাকে প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ তার বাড়িতে নিয়ে এক সহযোগীসহ পালা করে ধ’র্ষণ করে। দুদিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিন দিন আটকে রাখা হয় এবং সেখানে আরও ৪/৫ জন তাকে পালাক্রমে ধ’র্ষণ করে।
বিষয়টি ওই গৃহবধূ স্বজনদের জানালে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। কিন্তু মামলা নথিভুক্ত না করে পুলিশ ওই রাতেই রাসেলের সঙ্গে গৃহবধূর বিয়ে দিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওসি ওবায়দুল হককে কারণ দর্শাতে বলেছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে থানায় মামলা নেওয়া হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।