জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জে হাওর অঞ্চল ও পৌর শহরের এলাকাগুলোতে নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে আজ বুধবার ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় আতঙ্কে আছে মানুষ। এসব এলাকার ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কায় আছে। জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন।
আজ বুধবার সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। গতকালের চেয়ে পানি কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও পর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কিন্তু ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া, মরাটিলা, ধোপাখালী, বাঁধনপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, নবীনগর, কাজীর পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০০ মিলিমিটার, লাউড়ের গড়ে ৭৮ মিলিমিটার, ছাতকে ৮৪ মিলিমিটার এবং দিরাইয়ে ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর পানি কমলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি বাড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও জগন্নাথপুরে ৫ টন করে জিআর চাল দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৬০০ টন জিআর চাল মজুত রয়েছে বলে জানান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। এ ছাড়া এ পর্যন্ত নগদ ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।