আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা ১৮ সপ্তাহ ধরে জুম্মার জামাত হয়নি কাশ্মিরের সবচেয়ে বড় ‘জামে মসজিদে’। বন্ধ রয়েছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর উপাসনালয়ও। গত ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্র থেকে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করার পর থেকে সব ধর্মের উপসনালয়ে ঝুলছে তালা। খর্ব হচ্ছে উপত্যকার মানুষগুলোর ধর্মীয় স্বাধীনতা।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকায় আরোপ করা আছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরের প্রধান শহর শ্রীনগরের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক ‘জামে মসজিদে’ জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি টানা চার মাসেরও বেশি সময় ধরে।
এমনকি মসজিদের গায়ে এক স্থানীয় পুলিশের সতর্কবাণীও এঁটে দেয়া হয়েছে। সেখানে লেখা, পালিয়ে যান, মসজিদের ছবি তুলবেন না। নাহলে মসজিদের চারপাশে মোতায়েন করা আধা মিলিটারি বাহিনীর সদস্যরা ধরেও নিয়ে যেতে পারে। আর সাংবাদিক হলে তো কথাই নেই।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যটিকে দিখণ্ডিত করার সময় থেকেই সেখানে ধর্মীয় জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত শুক্রবার, বিশেষ মর্যাদা লোপের ১৭তম সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ নামাজের জন্যে এলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
‘জামে মসজিদে’ ১৯৬৩ সাল থেকে ইমামতি করে আসছেন সৈয়দ আহমেদ নাকাশবন্দি। ৫ আগস্টে পর থেকে তিনি ওই মসজিদ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এক মসজিদে নামাজ আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান ৮০ বছর বয়সী এ ইমাম।
মসজিদের পাশের নওহাট্টার বাসিন্দা খালিদ বশির গুড়া বলেন, যেকোনো ধরনের ধর্মীয় জমায়েতকে হুমকি হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ। আল-জাজিরার সাথে কথা বলার সময় তিনি জানান, পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
‘এমন ঘটনা এবারই নতুন নয়’ বলে উল্লেখ করে মসজিদের পরিচালনা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৈয়দ রহমান শামস জানান, ‘এর আগে ২০১৬ সালেও টানা ১৬ সপ্তাহ শুক্রবারের নামাজ হয়নি এখানে। এবার সেই রেকর্ডও ভাঙলো।’
দক্ষিণ কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার বাইত-উল-মুকারাম মসজিদেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।