ফুটবলের এক অতি জনপ্রিয় কৌশল – ফলস নাইন; যে কৌশলে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভিসেন্তে দেল বস্কের স্পেন, আর বার্সেলোনায় পেপ গার্দিওলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একচ্ছত্র রাজত্ব। স্পেন যে পাসিং ফুটবলের সাথে ফলস নাইন কৌশল মিলিয়ে ঐতিহাসিক এক ফুটবল ঘরানার সূচনা করেছিল, সেই কৌশলেরও পতন ঘটেছিল কয়েক বছর পরই।
২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে এই ফলস নাইনের ভূমিকায় দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছিলেন ডেভিড ভিয়া আর ফার্নান্দো তোরেস। এরপর একই কৌশল ব্যবহার করে ইউরো জয়। ট্রাইকার ছাড়া ফুটবল খেলা স্পেনের জন্য যেন অভিশাপ হয়ে এসেছিল। প্রথাগত স্ট্রাইকার বলতে আমরা যেমন খেলোয়াড় বুঝি – স্পেনের ফুটবলে তেমন স্ট্রাইকারের যেন বড়ই অভাব।
আসপাস, কস্তা, মোরাতা, রোদ্রিগো, মোরেনো, আলকাসের – এই নামগুলো স্পেনের জন্য কখনোই ভরসাযোগ্য হয়ে ওঠেনি। লুইস এনরিকে এজন্য আবার হেঁটেছেন সেই পুরোনো পথে। কাতার বিশ্বকাপে নিয়েছেন মাত্র একজন প্রথাগত স্ট্রাইকার – আলভিরো মোরাতা। আবারও আরেকটি নতুন বিশ্বকাপ এবং স্ট্রাইকার ছাড়াই স্পেন বিশ্বকাপের গল্প লিখতে প্রস্তুত।
এনরিকে স্প্যানিশ, খেলেছেন বার্সা এবং স্পেনে। কোচিংও করিয়েছেন বার্সাকে। তার রক্তে মিশে রয়েছে স্প্যানিশ পাসিং ফুটবল। এনরিকের ফুটবল মানেই মাঠে বলের সাথে প্রেম। স্প্যানিশ ফুটবল মানেই পায়ে বল রাখতে হবে আর নিখুঁত পাস দিতে হবে। এনরিকে স্পেনের এই বৈচিত্রময় ফুটবলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর স্পেন মানে তো বল পায়ে রেখে খেলতে পারা মিডফিল্ডারদের ছড়াছড়ি।
এনরিকের ফুটবলটা পজেশন নির্ভর। বল নিজেদের পায়ে রেখে পাসিং ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে দিতে হবে। এজন্য তার খেলাটা শুরু হয়ে গোলরক্ষক থেকে। তাই পাসিং ফুটবলটা যে শুধু মিডফিল্ডাররা খেলবে, তেমন নয়। দলের স্ট্রাইকার থেকে ডিফেন্ডারদের বল পায়ে হতে হবে নিখুঁত।
এনরিকের মাঝমাঠ প্রথম থেকেই এমন প্রাণবন্ত ফুটবল খেলে আসছেন। প্রচুর আক্রমণ এবং গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার স্পেনের নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেমিফাইনালেও স্পেন খেলতে পারে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে জিতে ফাইনাল পর্যন্ত যেতে হলে স্পেনের গোল করতে পারার কর্মদক্ষতা বাড়াতেই হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।