আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদি হয়ে শুক্রবার সকালে মামলা করেন। এ মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনে বাটার দোকানের সামনে পৌঁছা মাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার স্বামীকে লক্ষ্য করে হামলা করে। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে গুলি চালায়।

একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকসা আরোহী সামিয়া আফনান প্রীতি (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন এবং গুলিতে আহত হয়েছেন টিপুর গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (৩২)।

এদিকে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। এছাড়া আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

টিপুর গাড়িচালক আহত মনির হোসেন মুন্না জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে গাড়িতে করে বাগিচার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে শাজাহানপুর আমতলা মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এই গুলিতে গাড়ির ভেতর থাকা তারা দু’ জন (টিপু ও মুন্না) ও রিকসা আরোহী ছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আফনান প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন জানান, ‘আমার মেয়ে শাহজাহানপুর এলাকায় রিকশায় ছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে তার শরীরে লাগে। সে রিকশায়ই লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের বাসা শাহজাহানপুরের শান্তিবাগ এলাকায় বলে জানান তিনি।