জুমবাংলা ডেস্ক: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চলতি মৌসুমে বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় লাভের আশা দেখছেন চাষিরা। এখন শেষ সময়ের পরিচর্যা ও বেগুন তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ২০ হেক্টর জমি বেশি। ভাঙর, বিটি বেগুন ও বারি বেগুন-৫ এই তিন জাতের বেগুন বেশি চাষ করেছেন কৃষকরা।
পাটগাতী ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের কৃষক হানিফ ফকির বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বিটি বেগুন চাষ করেছি। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় খুব খুশি। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, বীজ, ফাঁদ, নেট পাওয়ায় বেগুন চাষাবাদে খরচ কম পড়েছে।’
কুশলি ইউনিয়নের দক্ষিণ বসুরিয়া মনির মোল্লা বলেন, ‘ভাঙর জাতের বেগুনের চাষাবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে দামও ভালো আছে।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষাবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৩৫ টন ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকরা খুশি।’
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ থেকে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী মৌসুমে বেগুনের চাষাবাদ আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ৩৫ টন বেগুনের ফলন হয়েছে। বাজারে কেজি প্রতি খুচরা মূল্য ৪০-৫০ টাকা ও পাইকারি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ১০-১৫ টাকা বেশি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বেগুন চাষাবাদে প্রথমে চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত, পরে সার প্রয়োগ, চারা রোপণ, ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন, প্রয়োজন অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে ও পরিচর্যা করতে হয়। সাধারণত এই অঞ্চলে অক্টোবরে এ জাতের বেগুন চাষাবাদ শুরু করা হয়। ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধারণের উপযোগী হয়। এছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে বেগুন পূর্ণরূপ ধারণ করে। এরপর বাজারে বিক্রি করা হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।