আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টু্ইটারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টু্ইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। টু্ইটারও ছেড়ে কথা বলেনি ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্টের একটি পোস্ট হাইড করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসি বাংলার।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর সেখানে তুমুল বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প দুটি টুইট করেন।
এর একটি পোস্ট ‘সহিংসতাকে উদ্বুদ্ধ’ করা সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে টুইটার তা হাইড করে একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দেয়।
বার্তায় বলা হয়, এই টুইটটি ‘সহিংসতাকে উদ্বুদ্ধ’ করা সংক্রান্ত টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তবে এই টুইটকে ঘিরে জনগণের আগ্রহ থাকতে পারে বিবেচনায় সেটি দেখার সুযোগ রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটির বিস্তারিত জানতে সতর্কবার্তার শেষে ‘আরও জানুন’ লিংক যুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে পোস্টটি টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করায় সেখানে লাইক বা কমেন্ট করা যাচ্ছে না।
https://twitter.com/realDonaldTrump/status/1266231100780744704
ট্রাম্পের যে টুইটটি হাইড করা হয়েছে, তাতে মিনেসোটার গভর্নরের সঙ্গে মিনিয়াপলিসে সেনা মোতায়েন নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। সেই সঙ্গে লুটপাটকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার হুমকি দেন তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দুটি টুইটে ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ লিংক যুক্ত করে দেয় টুইটার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার টুইটে এ ট্যাগ দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তবে ভুয়া খবর ঠেকাতে টুইটারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায় ব্যবহারকারী।
এরপর ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশ সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্পের টুইট হাইড করে দেওয়া হয়।
এই আদেশের কারণে কিছু আইনগত সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।