আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপ নিয়ে অভিশংসনের মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আগে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আর রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বিতর্কিত ওই ফোনালাপ ফাঁসের নেপথ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক কর্মকর্তা। হোয়াইট হাউসে এক সময় দায়িত্ব পড়েছিল তার।
ফোনালাপ বিতর্ক তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই তথ্য ফাঁসকারীকে সিআইএ কর্মকর্তা হিসেবে প্রথমে শনাক্ত করে নিউইয়র্ক টাইমস। পরে রয়টার্স আলাদাভাবে সেটা নিশ্চিত হয়।
তবে ওই তথ্য ফাঁসকারীর আইনজীবী মার্ক জিয়াদ যিনি ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে তার প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি তার মক্কেলের পরিচিতি কিংবা পেশার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তথ্য ফাঁসকারীর বিস্তারিত প্রকাশ করা হলে এটি কেবল কোনো এক ব্যক্তিকে তথ্য ফাঁসকারী হিসেবে শনাক্তে করতে সাহায্য করবে যিনি আমাদের ক্লায়েন্ট কিংবা ভুল ব্যক্তিও হতে পারেন।’
‘এটি ওই ব্যক্তিকে আরও মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে। এটা কেবল তাদের পেশাগত জগতেই নয়, বরং তাদের সম্ভাব্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে’ যোগ করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ওই ফোনালাপে নিজের দেশীয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী জো বাইডেনকে কালিমালিপ্ত করতে ট্রাম্প বিদেশি সাহায্য চেয়েছেন এবং এক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তাকে তিনি দর-কষাকষির হাতিয়ার করেছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের কয়েক দিন আগে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা আটকে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
জো বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১৬ সালে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর ভিক্টর শোকিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা ছিল।
শোকিনের অফিস বুরিস্মা নামের একটি গ্যাস কোম্পানির অনিয়ম তদন্ত শুরু করেছিলেন, যে কোম্পানির বোর্ড সদস্য ছিলেন বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।