আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য ও সংকট মোকাবিলায় নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা চালু করতে একমত হয়েছে ব্রিকস দেশগুলো।
ব্রিকসভুক্ত রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো নতুন এ মুদ্রা প্রচলনের পরিকল্পনা করছে।
জুনের শেষে রাশিয়া এবং ব্রিকস দেশগুলোর সদস্যরা বলেছে, এ পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশের নেতারা আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা তৈরির জন্য একমত হয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৪তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, ব্রিকস দেশগুলো ‘নতুন বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা’ চালু করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া তুরস্ক, মিশর এবং সৌদি আরব ব্রিকসে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা তৈরির বিষয়টি আমাদের দেশগুলোর মুদ্রার আলোকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
পুতিন আরও বলেন, ভারতীয় খুচরা চেইন স্টোরগুলো রাশিয়াতেও স্থাপন করা হবে এবং চীনা গাড়ি ও যন্ত্রাংশ নিয়মিত আমদানি করা হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস মুদ্রা মার্কিন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) মুদ্রার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ ও লেনদেনে মার্কিন ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য বিশ্বজুড়ে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ব্রিকসের রিজার্ভ কারেন্সি (মুদ্রা) তৈরির পদক্ষেপ মার্কিন ডলার এবং আইএমএফ’র এসডিআর গুলোকে দুর্বল করে দেবে।
আইএনজির বিশ্ববাজার প্রধান ক্রিস টার্নার বলেন, এটি আইএমএফ দ্বারা মার্কিন আধিপত্য মোকাবেলার বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ। এটি ব্রিকসকে তাদের নিজস্ব আধিপত্য ক্ষেত্র এবং সেই ক্ষেত্রের মধ্যে একক মুদ্রা প্রচলনের সুযোগ দেবে।
চলতি বছরে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, কিছুই চিরকাল স্থায়ী হয় না। মার্কিনিরা নিজেদেরকে অদ্বিতীয় মনে করে এবং যদি তারা মনে করে যে তারা অদ্বিতীয়, তার মানে অন্য সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির।
জুনে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন- রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরোধিতা করার জন্য ন্যাটো দায়ী। এছাড়া কিছু দেশ যারা এচ্ছত্র আধিপত্যকে সমর্থন করে, তারাই নিরাপত্তা দুর্বলতায় ভুগবে।
শি জিনপং বলেন, যারা শক্তির প্রভাবে আচ্ছন্ন, সামরিক জোট প্রসারিত করে এবং অন্যের খরচে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা খোঁজে, তারা নিজেরাই নিরাপত্তার সমস্যায় পড়বে।
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, মার্কিন অর্থনীতি ‘মন্দার চেয়েও অনেক বড় সমস্যার’ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
এছাড়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাডেনের আর্থিক নীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বে বলেও জানায় মার্কিন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।