জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেসকিপশনে চিকিৎসকের স্বীকৃতিহীন ডিগ্রি, অনুমোদনবিহীন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিবসহ ছয়জন বরাবর আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।
নোটিশে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আইন মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) জাগো নিউজকে বলেন, “দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২’ এর ৮ ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্স ব্যতীত কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি প্রদান করবেন না। এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতা মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশই অনুমোদনহীন, মানহীন ও সেবা প্রদানের চেয়ে টাকা উর্পাজনেই মালিকদের একমাত্র উদ্দেশ্যে। এ টাকা উপার্জনের মানসিকতায় সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন।”
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়মনীতি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করানো হয়। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।’
নোটিশে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রচারিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে PGT, BHS, FCPS (Part-I), (part-2), MD-(in course), (part-1), (part-2), (থিসিস পর্ব), (last part), course completed (cc), MS-(in course) ইত্যাদি এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণসমূহ যথা FRCP, FRHS, FICA, FICS, FAMS, FIAGP ইত্যাদি উল্লেখ করেন। কিন্ত এগুলো কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত নয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, অনেকেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্ত অনেক চিকিৎসক ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন প্যাডে এসব প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন। অনেক ক্ষেত্রে অপচিকিৎসারও শিকার হন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।