লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর পানীয়। তবে আজকাল একে মহৌষধি বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? একটু মাথা খাটিয়ে বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করলেই যে কেউ বুঝবেন। তার আগে জেনে নেওয়া যাক ডাবের পানিতে কি থাকে?
ডাবের পানির মূল উপাদান পানি। এরপর এখানে আছে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। সামান্য পরিমাণে প্রোটিন আর ফ্যাট আছে৷ ভিটামিন আছে অতি সামান্য। গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হলো এই পানিতে আছে মিনারেল বা খনিজ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে পটাশিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম। সোডিয়ামও আছে। একশ মিলি ডাবের পানি থেকে ১৯ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়।
ডাবের পানির যা উপাদান তা কলেরা স্যালাইনের কাছাকাছি। শরীরে পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণে তাই ডাবের পানি এক অনন্য দাওয়াই। ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা, অতিরিক্ত ঘাম কিংবা অপারেশনের পর শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি স্যালাইনের বিকল্প হতে পারে৷ বয়স্কদের শরীরে অনেক সময় লবণের ঘাটতি হয়। তাদের ক্ষেত্রে ডাবের পানি উপকারি। ডাবের পানিতে খুব সামান্য ফাইবার বা আঁশও আছে অবশ্য। সেটার পরিমাণ একটি শশার থেকে অনেক অনেক কম।
উপরের উপাদানগুলো মিলিয়ে দেখলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ডাবের পানি কোন কাজে লাগবে। সাথে এও বুঝতে পারবেন কিডনি রোগী, যাদের শরীরে পটাশিয়াম বেশি থাকে তাদের জন্য ডাবের পানি সাংঘাতিক ঝুঁকিপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপে বাড়তি লবণ বা মিনারেল ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই ডাবের পানি উপকারি তবে নির্বিচারে পানের মতো কোন জিনিস নয়। মহৌষধও নয়। ক্ষেত্র বিশেষে ক্ষতিকরও হতে পারে।
আপনার শরীরে লবণের মাত্রা ঠিক থাকলে ডাবের পানি তেমন কিছুই যোগ করতে পারবে না, প্রতিদিনের পানির চাহিদা মেটানো ছাড়া। কিডনি রোগী ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী ডাবের পানি পানে খুবই সাবধান। পানি ছাড়া মানুষের চলে না। আবার কিডনি রোগীকে পানি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পানি বা স্যালাইনে জীবন নাশও করতে পারে। পানির অপর নাম জীবন। আবার পানিতে ডুবেও মানুষ মারা যায়। পরিমিতি না বুঝলে ওষুধও হয়ে ওঠে বিষ।
লেখক : রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ, সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।