লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিস আগে বয়স্কদের রোগ মনে করা হতো, কিন্তু এখন তরুণদের মধ্যেও এটি বাড়ছে। এর পেছনে রয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপ ও খারাপ খাদ্যাভ্যাস। সম্প্রতি ‘আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন’ তরুণদের মধ্যে দেখা যাওয়া নতুন এক ধরনের ডায়াবেটিস—টাইপ ৫—চিহ্নিত করেছে।
টাইপ ৫ ডায়াবেটিস কী?
আমরা মূলত টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতাম।
টাইপ ১ সাধারণত শিশু বয়সে শুরু হয়, যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। টাইপ ২ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের হয় এবং এতে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)। অপরদিকে, টাইপ ৫ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের হার খুবই কম থাকে।
ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
কারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব শিশু বা কিশোর অপুষ্টিতে ভোগে বা যাদের ওজন খুব কম, তাদের টাইপ ৫ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিশেষ করে যাদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.৫-এর নিচে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে। এ ধরনের ডায়াবেটিস আফ্রিকা ও এশিয়ার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে।
লক্ষণগুলো কী রকম?
টাইপ ৫ ডায়াবেটিসের উপসর্গ অনেকটাই অন্যান্য ডায়াবেটিসের মতো, যেমন—
সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়া,
শরীরের ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া,
ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া,
এই লক্ষণগুলো দেখে অনেক সময়েই ভুলভাবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরে নেওয়া হয়।
চিকিৎসা কিভাবে হয়?
যেখানে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে মেটফরমিন কার্যকর, টাইপ ৫-এ এই ওষুধ ভালোভাবে কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে এমন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, যা অগ্ন্যাশয়কে বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
প্রতিরোধের উপায় কী?
এই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন এখনো নেই।
তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়, যেমন—
উচ্চ প্রোটিন ও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া,
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করা,
নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত ঘুম,
দুশ্চিন্তা কমিয়ে সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা।
সূত্র : আজকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।