জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত ৮টায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় দাবি উঠেছে-২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. মুরাদকে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, ‘সভায় অবৈধ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে যে চরম অশালীন, অরুচিকর বক্তব্য, তার সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্টাচারবিবর্জিত সম্মানহানিকর কুৎসিত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। সভা মনে করে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের নারীবিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজবিরোধী বক্তব্য ও সংবিধানবিরোধী এই বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী-সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।