জুমবাংলা ডেস্ক : হাইকোর্ট বলেছেন, যাকেই ধরে নিয়ে যান তাকে তাকেই খাওয়ান, আবার ছবি আপলোড করেন। এভাবে ধরে নিয়ে খাওয়ায়েন না, জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছয় সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে ফেরত চেয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।
ছয় সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে ফেরত চেয়ে রিট করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, সংবিধানের কোথাও নেই কাউকে তুলে নিয়ে তাদের কাছে রাখা যাবে। হাইকোর্টের সামনে ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সমন্বয়কারীদের হাজির করা হোক। এ বিষয়ে করা রিটের আদেশ মঙ্গলবার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার পর রোববার তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। নিজের ফেসবুকে এরই কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে ডিবিপ্রধান। এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ছবির ক্যাপশনে লেখেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।
তিনি আরও লেখেন, কী কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে শনিবার (২৭ জুলাই) সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel