চলতি বছরের ডিসেম্বরে মহাকাশে একটি পরীক্ষামূলক নভোযান উৎক্ষেপণ করবে ভারত। তবে এই মিশনে কোনো নভোচারী থাকবেন না। ভবিষ্যতে চার নভোচারীসহ উৎক্ষেপণ করা হবে ‘গগনযান’ মিশন। সেই অভিযান সামনেই রেখেই এই পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা। এ মিশন সফল হলে গগনযান মিশন চালু করতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর আগে আমরা আরও একবার সব পরীক্ষা করে দেখতে চাই। এটি সফল হলে নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাব আমরা।’
পরীক্ষামূলক এ নভোযান উৎক্ষেপণের জন্য ইতিমধ্যে ভারতের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে নভোযানটি পৌঁছেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে গগনযান ১ বা সংক্ষেপে জি-১। যে রকেটে করে এই নভোযান মহাকাশে পাঠানো হবে, তার নাম লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ বা এলএমভি৩।
সোমনাথ আরও বলেন, ‘দেড় মাসের মধ্যে শ্রীহরিকোটায় সবকিছু পৌঁছে যাবে। আগামী ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ করা হবে জি-১ নভোযান।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গগনযান মানব মিশনের ঘোষণা দেন। সত্যিই মহাকাশে মানুষ পাঠাতে পারলে রাশিয়া (প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিউয়ন), যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরে চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর গৌরব অর্জন করবে ভারত।
জি-১ মিশনে কোনো মানুষ না থাকলেও থাকবে হিউম্যানয়েড রোবট। এরপর ২০২৫ সালে ভারত জি-২ ও জি-৩ নামে আরও দুটি পরীক্ষামূলক মিশন পরিচালনা করবে। তারপরেই সরাসরি মহাকাশে পাড়ি জমাবেন ভারতীয় নভোচারীরা। সে জন্য ইতিমধ্যে চার নভোচারীর নাম ঘোষণা করেছে দেশটি। তাঁরাই ভবিষ্যতে মহাকাশে যাবেন। চারজনের প্রত্যেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন। তাঁরা হলেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, অঙ্গদ প্রতাপ, অজিত কৃষ্ণণ এবং শুভাংশু শুক্ল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।