জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে থেকে দুপুর ১২টার দিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এদিকে সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ।
উল্লেখ্য, ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চারবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।