আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরে নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল। সেই কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া স্বর্ণালী সামন্ত নামে এক তরুণী। তবে প্রথম শ্রেণির স্নাতক হয়ে ডোম পদের চাকরিপ্রার্থী হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে।
স্বর্ণালী সামন্ত ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। শুধু স্বর্ণালীই নন স্নাতক ছাড়াও স্নাতকোত্তর-ইঞ্জিনিয়াররাও আবেদন করেছেন ওই পদে।
ফেসবুকের মাধ্যমে এনআরএসের ওই বিজ্ঞাপনটা দেখতে পান স্বর্ণালী। তার পদের নাম ল্যাব অ্যাটেনড্যান্ট বা পরীক্ষাগার সহকারী। গত ২১ মার্চ পরীক্ষা ছিল। তবে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায় আগস্টে।
তবে এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ায় অবাক হয়েছেন স্বর্ণালী।
স্বর্ণালী জানান, যাদের চাকরি নেই, তাদের তো চাকরি দরকার। তা সে যে পদই হোক না কেন। কাজের কোনো ছোট বড় হয় না। প্রথমে ‘পরীক্ষাগার সহকারী’ বিষয়টি না জানলেও, কিছুটা খোঁজখবর নিতেই তার কাছে ওই পদ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়ে যায়।
ডোম পদে কাজ পেলে কী করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, চাকরি পেলে কেন করব না। ডোমের পদে কাজ জেনেই আমি পরীক্ষা দিতে গেছি। কোনো রকম খ্যাতির লোভে পরীক্ষা দিইনি। আমার বাড়ির লোকও এটা মেনে নেবে।
স্বর্ণালীর স্বামী দেবব্রত কর্মকার একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থায় গাড়ি চালান। শিবপুরের ভবানী গার্ল স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন। বর্তমানে তিনি ডালহৌসির একটি বেসরকারি সংস্থার রিসেপশনিস্ট হিসাবে চাকরি করছেন। তার এক মেয়ে রয়েছে।
রোববার হাসপাতালে গিয়ে ডোমের চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে এসেছেন স্বর্ণালী। এখন সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।