সুদানের দারফুরে শুক্রবার একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা। এল-ফাশের শহরে এই হামলার জন্য আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করা হচ্ছে, যদিও গোষ্ঠীটি এখনো কোনো দায় স্বীকার করেনি।
আরএসএফ ও সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। আধাসামরিক বাহিনী এখন এল-ফাশের দখলের চেষ্টা করছে—এটি দারফুরে সেনাদের শেষ ঘাঁটি, যেখানে তিন লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ আটকে রয়েছে। এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ড্রোনটি ফজরের নামাজ চলাকালে আঘাত হানে, মুহূর্তেই বহু মানুষ নিহত হয়।
চিকিৎসা সূত্রের হিসাবে ৭৮ জন মারা গেছে ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ তোলার কাজ চলছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মসজিদের পাশে প্রায় ৩০টি লাশ কাফনের কাপড় বা কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এই সপ্তাহে আরএসএফ আবারও এল-ফাশেরে বড় হামলা শুরু করেছে। খবর অনুযায়ী, শহরের কাছে আবু শৌক শরণার্থী শিবিরে তীব্র হামলাও হয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাবের বিশ্লেষণ বলছে, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে শিবিরের বড় অংশ আরএসএফ নিয়ন্ত্রণে।
ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে আরএসএফ যৌথ বাহিনীর সদর দপ্তরে প্রবেশ করেছে, যা আগে জাতিসংঘের কমপাউন্ড ছিলো এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা-রেখা হিসেবে বিবেচিত। যদিও তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিনা পরিষ্কার নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।