জুমবাংলা ডেস্ক : লুটপাট, ভাঙচুর, মারধর ও হ’ত্যাচেষ্টার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামি ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক ড. আব্দুল কাদের, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, সহকারী রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফা বাবু, পিএইচএ ভবনের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, মো. সোহেল, স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আওলাদ হোসেন, মো. রাসেল, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, ডা. রেজাউল হক, ইসরাফিল, জুয়েল রানা, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম, আব্দুস সামাদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয় উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহিদ, গবেষক সেন্টু ফার্মাসি বিভাগের ইনচার্জ ইকরাম, আরিফ ও অন্তুসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে মার্কেট গুঁড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী নাসির উদ্দিন বলেন, রাতের আঁধারে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে নির্মিত প্রায় ১৪টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমি মামলা করেছি। এখন পুলিশ বিষয়টি দেখভাল করবে এবং আইন অনুযায়ী আমি এর বিচার প্রার্থনা করছি।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার বাঁশবাড়ি মৌজায় নাছির উদ্দিন ও তার ভাই আবু বক্করের ১৬ শতাংশ জমি আছে। ওই জমিতে তাদের বাবা হাজি এফাজ উদ্দিনের নামে একটি মার্কেট রয়েছে। মার্কেটে একটি হোটেলসহ ২০টি দোকান রয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে হোটেলসহ ১৪টি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গণস্বাস্থ্যের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনে প্রবেশ গেটের দু’পাশে পাথালিয়া মৌজার জমি দীর্ঘদিন ধরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভোগ-দখল করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল, খাজনা খারিজও হালনাগাদ রয়েছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন উল্লেখিত জমি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাবি করে গত বছর জোরপূর্বক ভাঙচুর চালিয়ে জবর দখল করে। এ সময় পিএইচএ ভবনের নির্মিত গেট এবং গেট সংলগ্ন নিরাপত্তা ভবনও ভাঙচুর চালিয়ে জবরদখল করে সেখানে স্থাপনা তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্যের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা করেন। ওই মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে নাসির উদ্দিন নিজেই লোকজন দিয়ে স্থাপনাটি ভাঙচুর করে হয়রানির উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।