করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের কিছু অঞ্চলে লকডাউন জারি করা হলেও ঢাকার দুই সিটির ৪৫ এলাকার কোন অঞ্চলে কতটুকু ‘রেড জোন’ হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তবে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি জায়গায় ছোট আকারে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে ছুটি আসছে বলে বুধবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে ঢাকার রেড জোন নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ধাপে ধাপে সেসব এলাকায় ছুটি ঘোষণা ও অবরুদ্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, অনেকগুলো বিষয় সামনে রেখে ঢাকার রেড জোনের এলাকা নির্ধারণ করতে হচ্ছে। সব জায়গায় একসঙ্গে বিধিনিষেধ দেওয়া যাবে না। যে জায়গায় বেশি সংক্রমণ, সেই জায়গা আগে অবরুদ্ধ করা হবে।
ইকোনমি চালু রাখতে হবে, এটা আমাদের স্ট্রাটেজি। এর পাশাপাশি ছোট ছোট করে অঞ্চল সামর্থ্য অনুযায়ী অবরুদ্ধ করা হবে, যাতে নরমাল লাইফ বাধাগ্রস্ত না হয়, যোগ করেন ফরহাদ হোসেন।
ঢাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত যে ৪৫টি এলাকার নাম সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সেগুলো এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এরিয়া ডিমার্কিং করছি। সেই ডিমারকেশন চূড়ান্ত হলে সেটা ঘোষণা করা হবে, এরপর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে তিন দফায় দেশের ১৯ জেলায় ৪৫টি অঞ্চলকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এসব এলাকায় লাল, হলুদ ও সুবজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে লকডাউন বাড়িয়ে ২১ দিন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার আরও ৭ দিন লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।