জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে দুই ঘণ্টা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
মঙ্গলবার আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এস আই খান।
এর আগে সকাল ৬টার দিকে কারা পুলিশ প্রটোকলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, কারাগারে হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন সম্রাট। এ কারণে কারারক্ষীরা তাঁকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
পরে তাদের ঢাকায় এনে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কার্যালয় থেকে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল।
এদিকে একই সময়ে রাজধানীর শান্তিনগরে শেলটেক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় এবং মহখালী ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর সড়কে সম্রাটের দুটি বাসায় এবং মিরপুর দুই নম্বর সেকশনেও অভিযান চালায় র্যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।