জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভূয়া সিলসহ মানবাধিকার ইউনিটের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত বুধবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- জিয়াউল আমিন ওরফে হরুন অর রশিদ (৫৩) ও তার স্ত্রী দৌলতুন নেছা (৪২)। রশিদ কথিত মানবাধিকার ইউনিটের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী সংগঠনের অর্থ সচিব হিসেবে পরিচয় দিত। মানবাধিকার সংস্থার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন তারা। তাদের অন্যতম কাজ ছিল সরকারি বিভিন্ন দফতরে অন্যায় তদবির করা। আর তদবিরে কাজ না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চলতো হয়রানি।
র্যাব জানায়, এসএসসি পাস হারুন একাধারে মানবাধিকার ইউনিটের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের চিফ কো-অর্ডিনেটর ও হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ভূয়া পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছিলেন। ভূয়া পরিচয়ে বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন, জায়গা জমি ও বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা মেটানোর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়া মানবাধিকার সংস্থার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রতারক হারুন দেশজুড়ে ৪০টি কমিটি তৈরি করে প্রায় ২ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা সদস্য ফি হিসেবে আদায় করেছেন।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, হারুনের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন শতাধিক ভুক্তভোগীকে পাওয়া গেছে। কোনো ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিত সে।
তিনি আরো জানান, প্রতারক রশিদের গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা থানাধীন কালমেঘা এলাকায়। সে ২০০৭ সালে পাথরঘাটা চাঞ্চল্যকর দেবরঞ্জন কীর্তনীয়া হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি। এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ঢাকায় আসে সে। পরে নাম পরিবর্তন করে জিয়াউল আমিন হয়ে যায়। এরপর উকিলের সাথে কোর্টে কাজ করার সুবাদে কিছু আইনি বিষয় রপ্ত করে ২০১১ সালে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি নামে একটি এনজিও চালু করেন হারুন। এই এনজিও বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতারিত করে আসছে এমন অভিযোগে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। কিন্তু লাইসেন্স বাতিলের পরও হারুন মানবাধিকার ইউনিটের নামে তার প্রতারণা অব্যাহত রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।