আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে কিছু কিছু এলাকায় সম্প্রতি বিয়ের হার ব্যাপকভাবে কমেছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিত নারীরা বিয়েকে অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন। তবে তারা মা হতে চান। তারা মনে করেন, মা হওয়ার জন্য পুরুষের সঙ্গে বিয়ে-সংসার করতে হবে এমন নয়।
এজন্য চীনের এসব নারীরা শুক্রাণুদাতা খুঁজে বের করেন বা শুক্রাণু ব্যাংক থেকে কিনে থাকেন। এই পদ্ধতিতে মা হওয়াকে বলা হয় চীনে অবিবাহিত নারীদের শুক্রাণু সংগ্রহ বা ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসা।
বিবাহ বন্ধন বা পুরুষের সঙ্গ ছাড়াই মা হওয়া তরুণীরা যে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন ওই সন্তানরা হয়তো কখনোই তাদের পিতার দেখা পাবে না। হয়তো পিতার কোনো সন্ধানও তারা পাবে না।
তবে চীনে শুক্রাণু দান নিষিদ্ধ হওয়ায় এসব নারীদে বিদেশি পুরুষ বা বিদেশী শুক্রাণুদাতা প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দিতে হয়। চীনের বাইরের এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে চীনে শাখা খুলেছে এবং চীনা ভাষার কর্মীও নিয়োগ দিয়েছে।
এমন একটি প্রতিষ্ঠান ড্যানিশ শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ব্যাংক ক্রিস ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাষ্ট্রের ও ইউরোপিয়ান শুক্রাণু ব্যাংকও জানিয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের চীনা ক্রেতা বেড়েছে।
শুক্রাণু নিয়ে মা হওয়া এমন এক চীনা নারী শিয়াওগুনঝু (৩৯)। তিনি ফরাসি বংশোদ্ভূত এক আইরিশ যুবকের শুক্রাণু নিয়ে মা হয়েছেন। তার ছেলের বর্তমান বয়স নয় মাস। নাম অস্কার।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে চীনে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারে মূল্যে শুক্রাণু কেনাবেচা হবে। ২০১৬ সাল থেকে চীনে বিদেশ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহের চাহিদাও বাড়ছে। বাজারটি ধরতে বিদেশিরাও বসে নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।