বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান ক্ষমতা চাইলে অনেক আগে থেকেই নিতে পারতেন, কিন্তু তারা জনগণের ম্যান্ডেটেই ক্ষমতা নিতে চান। তিনি মনে করেন, জনগণ সবসময় বিএনপির পাশে থাকায় সরকারের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনীর পরশুরামের কালিকাপুর এলাকায় বল্লামুখা বেড়িবাঁধের পাশে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে জনগণ বিএনপির পক্ষে রায় দেবে। কিছু রাজনৈতিক নেতা বা ব্যক্তি ঠিক করে দিতে চায় দেশ কীভাবে চলবে, কিন্তু এই অধিকার তাদের নেই। জনগণই শেষ সিদ্ধান্ত দেবে। আমাদের বিশ্বাস, জনগণ সবসময় বিএনপির পাশে থাকবে।”
এছাড়া তিনি আরও বলেন, “অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করে আমরা দাবি করেছি একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন আয়োজন হোক। এটি দেশের ও জনগণের স্বার্থে অপরিহার্য।”
তিনি বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে হাসিনা শুনবে কিনা জানি না, কিন্তু মোদি শুনবে। কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। আজকে গণভোটের কথা যারা বলে তাদের সঙ্গে হাসিনার যোগাযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই গণভোটে যদি শেখ হাসিনা ওখান থেকে বলে দেয়, তখন তার দলের, তার অনুগত ও তার সহচররা গিয়ে না- এর পক্ষে ভোট দেবে। তখন দেশটির কী অবস্থা হবে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বল্লামুখাসহ মুহুরী-কহুয়া ও সিলেনিয়া নদীর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারত কখনো আমাদের ভালো চায় না। তারা চায় না এ দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, স্বাবলম্বী হোক বা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক। বিএনপি সর্বদা মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষের কষ্ট ভাগ করে নেয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক, সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল মনি প্রমুখ।
এ সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নিজ কালিকাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে বিএনপিসহ সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। পরে সেখানে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



