জুমবাংলা ডেস্ক : তিস্তা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর বৈরালি মাছ। এ মাছটি খুবই সুস্বাদু। এ কারণে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রিও হচ্ছে দেদার। এ মাছের ক্রেতাও প্রচুর।
কিছুদিন আগেও নদীতে বৈরালি মাছ মিলছিল না। বর্তমানে ঝাঁকে ঝাঁকে বৈরালি মাছ ধরা পড়ায় খুশি জেলেরাও। চলতি বছরে মে মাসে উজান থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁকে ঝাঁকে বৈরালি মাছ আসছে।
তিস্তাপারের জেলেরা জানান, তিস্তা নদী থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছিল বৈরালি মাছ। তিন-চার বছর থেকে তিস্তায় পানি কম আসার কারণে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সুস্বাদু এই মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়ছিল না।
রংপুর অঞ্চলে অসম্ভব জনপ্রিয় সুস্বাদু বৈরালি মাছের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল- এবারে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় তা অনেকটাই কেটে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উজানে ভারতের একাধিক জায়গায় বাঁধ দেওয়ার ফলে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানি ও স্রোত কমে যায়। ফলে বৈরালি মাছের বংশবৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে। আবার যখন নদীতে ঘোলা পানি আসে তখন বৈরালি মাছও গভীর পানিতে হারিয়ে যায়।
তিস্তাপারের নাজিরদহ চরের জেলে কবীর হোসেন (৪০) জানান, নদীর পানি কমে যাওয়ায় মাছও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছিল না।
কয়েক দিন ধরে উজানের জোয়ারে নদীতে স্বচ্ছ পানি আসার পর ভরে গেছে বৈরালি মাছ।
স্থানীয়ভাবে মাছটি বৈরালি নামে পরিচিত হলেও বৈজ্ঞানিক নাম-বারিলিয়াস বারিলা। এ মাছটির গায়ের রং সাদা তবে বুকের নিচে হলুদ বর্ণ ধারণ করলে মাছটি পরিপক্ব হয়ে ওঠে অর্থাৎ স্বাদ বেড়ে যায়।
নাটোরে পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, সেনা অভিযানে টাকা ফেরত পেলেন ক্রেতারা
কাউনিয়ার চর নাজিরদহ, ঠিকানার হাট, শহীদবাগ, তিস্তা সড়ক ও রেলসেতু পাড়, টেপামধুপুরের চরগনাই, ঢুষমারা, তালুকশাহবাজ গ্রামের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- আকার ভেদে বৈরালি মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৈরালি মাছের পাশাপাশি বালিয়া, চিংড়ি, চেলা, ঢেলা, টোরা, টেংরা, পাবদা, পুঁটি, দারকাসহ নানা মিশালি মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।