আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেশটির অন্যতম প্রধান শহর ইস্তাম্বুলের। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ৪৫ দিনের মধ্যেই পানিশূন্য হয়ে পড়বে এক কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার এ শহরটি। খবর দ্যা গার্ডিয়ান’র।
তুরস্কের রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এক দশকের মধ্যে কম বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটিতে সবচেয়ে মারাত্মক খরার সৃষ্টি হয়েছে। পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ায় ইতমধ্যে ১৭মিলিয়ন মানুষ দেশটির মেগাসিটিগুলো ছেড়েছে। আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভা জানিয়েছেন, এই মাসের শুরুর দিকে রাজধানীর বাঁধ ও জলাধারগুলিতে ব্যবহারের জন্য ১১০ দিনের পানি মজুদ ছিল।
দেশের অন্যান্য শহরগুলোরও একই অবস্থা। আরো দুটি বড় শহর ইজমির ও বুরসায় যেসব বাঁধ রয়েছে সেগুলোতে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৪ শতাংশ পানি অবশিষ্ট রয়েছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। উন্নয়ন কাজে পানির অপরিমিত ব্যবহারের কারণেই এ সঙ্কট বলে অভিযোগ উঠেছে। ইস্তাম্বুলের পানি সরবরাহের প্রধান উৎস ওমেরিল বাঁধের পানির স্তর গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পুরো দেশে খরা এমন প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে যে, গত মাসে মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনাগারগুলোতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। নভেম্বরে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র অর্ধেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে দেশটিতে পানির ভয়াবহ অভাব দেখা দিয়েছে।
তুরস্ক দেশটি প্রধানত চরমভাবাপন্ন প্রকৃতির। দেশটিতে পানির অভাব সব সময় থাকে। বছরে দেশটি মাত্র এক হাজার ৩৪৬ ঘনমিটার পানি উৎপাদন করে থাকে। প্রত্যেক শহরে বাঁধ ও রিজারভায়র তৈরি করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বৃষ্টির সময় বাঁধের অভ্যন্তরে জমা পানির ওপরই নির্ভর করতে হয় সারা বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।