ডা. তানভীর আহমেদ: চলতি বছরের গ্রীষ্ম রীতিমতো ভয়ঙ্কর। এ গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবার বাড়ছে জ্বর। গরম থেকে ঠান্ডা আবার ঠান্ডা থেকে গরম। সবকিছু মিলিয়ে মানুষকে নাজেহাল করে ফেলছে এ আবহাওয়া। সকালের দিকে হালকা রোদ, বেলা বাড়তে না বাড়তেই প্রখর রোদ এবং তার সঙ্গে বইতে শুরু করছে লু। আর লু বইলে যে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তা তো সবারই জানা। এ সময়েই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্যই ভুগতে হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে সব মানুষকে। প্রতি ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে ভাইরাল জ্বর। এ সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম তাদের বিশেষ করে এ সময় জ্বরে কাবু হতে দেখা যায়। এ ধরনের ভাইরাল জ্বর হলে সর্দি কাশির সঙ্গে সঙ্গেই গায়ে হাত পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হতে থাকে।
এ ধরনের জ্বর থেকে বাঁচার জন্য প্রথমেই শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানো দরকার। আর শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। এ দুটি জিনিসেরই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ধর্ম বর্তমান ফলে এতে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়বে আর ভাইরাল জ্বর স্পর্শ করতে পারবে না। এ ছাড়াও আদা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায় আর কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে।
* ভাইরাল জ্বরের হাত থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
▶ এই গরমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। পরিবারের কেউ যদি এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে স্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
▶ বাইরে থেকে আসার পরই বিছানায় গিয়ে বসবেন না। জামা কাপড় ছেড়ে হাত মুখ ধুয়ে তারপরই খাটে বসুন।
▶ ভাইরাল জ্বরের অন্যতম কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। তাই এ সময় বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। বাইরে বেরোলেও সঙ্গে পানির বোতল নিয়ে বের হন। বাইরের ঠান্ডা ড্রিঙ্কস খেতে সেই মুহূর্তে ভালো লাগলেও পরে তা ক্ষতিকর রূপ ধারণ করতে পারে।
▶ বাড়ির কারোর ভাইরাল জ্বর হলে তাকে বলুন কাশির সময় মুখে হাত চাপা দিতে কারণ কাশি বা হাঁচির সময়েই এ ভাইরাস অপরের শরীরে প্রবেশ করে।
▶ ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন খাবারের আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
এছাড়াও বাইরে বেরোনোর সময় হালকা জামা কাপড় পরুন। ছাতা ব্যবহার করুন। সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটার মধ্যে বিশেষ কোনো প্রয়োজন থাকলে তবেই বাড়ি থেকে বের হন। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে বেরোনোর দরকার নেই। রোদ থেকে এসেই ঠান্ডা পানি খাবেন না বা এসিতে ঢুকে পড়বেন না। সাময়িক শান্তি পরবর্তীকালের অশান্তির কারণ না হয়ে যায় এটা খেয়াল রেখে চলবেন তাহলেই দেখবেন এসব ভাইরাল জ্বরের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন আপনি।
লেখক : প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বিআরবি হসপিটাল, ঢাকা।
মূহূর্তের মধ্যে ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে ঘরোয়া পদ্ধতি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।