আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি বলেছেন, উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সঙ্গে চলমান সংকট নিরসন হলেও ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে দোহার সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
কাতারের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের অবরোধ উঠে যাওয়ার পর শুক্রবার দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপসাগরীয় সংকট নিরসনে কিছু সমঝোতা করা হলেও কাতার তার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অব্যাহত রাখবে।
একটি দেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পরিচালিত হয়। তাই কোনো দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক নম্বর বাণিজ্য অংশীদার তুরস্ক।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা তুরস্কের সঙ্গে কোনো বিরোধ ধরে রাখতে চাই না।’
আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে গিয়ে তুরস্কের আঞ্চলিক ভূমিকা প্রসারিত করার ইচ্ছা উভয় দেশের মধ্যে প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন গারগাশ।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত শিগগিরই কাতারের সঙ্গে পরিবহন ও বাণিজ্য আবার শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুশি যে, আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠেছি এবং আমরা উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় রয়েছি।’ তার দেশ আল-উলা চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। কাতার সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশ চারটি।
শুধু তাই নয়, দেশ চারটি অবস্থানরত সব কাতারি নাগরিকদের বের করে তারা। এ সময় ১৩ দফা দাবিও পেশ করে দেশ চারটি।
এর মধ্যে রয়েছে- আলজাজিরা নিউজ নেটওয়ার্ক বন্ধ, কাতারে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির সমাপ্তি এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন। তবে দোহা এসব দাবি মেনে নেয়নি।
প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের ওপর আকাশ, স্থল ও নৌপথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে তুরস্ক, ওমান ও অন্যান্য দেশ থেকে খাদ্য ও ওষুধ আমদানি বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয় কাতার। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েতের মধ্যস্থতায় কাতারের সঙ্গে ফের সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারে একমত হয় এই চারটি দেশ।
শনিবার থেকে কাতারের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২০১৭ সালের ৫ জুন থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, ভ্রমণ যোগাযোগ-সব কিছুই বন্ধ ছিল। এছাড়া জল, স্থল ও আকাশপথও ছিল বন্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।