দুবছর ধরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে জলপাইগুড়ির এই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হলো নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে।
নিখোঁজের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে কৃষ্ণনগরে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সংসার পেতেছেন তিনি। সেখানে এক পুত্র সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং ওই গৃহবধুকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির ঝাকুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ নন্দীর সঙ্গে বিয়ে হয় কোচবিহারের নিবাসী ওই গৃহবধূর। ইন্দ্রজিৎ ছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
কিন্তু ২০১৯ সালের ১৮ ই জুলাই জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থামনে স্ত্রীর মিসিং ডায়েরি করেন ইন্দ্রজিৎ বাবু। আবার কয়েকদিন পর মেয়েটির বাপের বাড়ি থেকেও অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্তে নামেন জলপাইগুড়ি পুলিশ। ওই গৃহবধূর ফেসবুক একাউন্ট কে কাজে লাগিয়েই তদন্ত শুরু করা হয়। প্রথমে কেরলের সূত্র পেলেও পরে নদিয়ার ক্রসননগরে একজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের সঙ্গে তিনি সংসার পেতেছেন বলে জানা যায়। গর্ভবতীও হয়েছেন তিনি।
অবশেষে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই তিনি এবং কসর ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি ধরা পড়েন। গৃহবধূকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করাকালীন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তার। স্বামীর বয়স বেশি হওয়ায় স্ত্রীর শারীরিক যৌন চাহিদাকে তৃপ্ত করতে পারতেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান কিশোর ঘোষের হাত ধরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।