লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজারের বিভিন্ন নামি-দামি শ্যাম্পু ব্যবহার করেও চুলের নাজেহাল অবস্থা হয়ে থাকলে বিকল্প হিসেবে চেষ্টা করতে পারেন কিছু দেশি উপাদান। বাণিজ্যিক শ্যাম্পুর দেশি বিকল্পগুলো বহু আগে থেকেই চুলের স্বাস্থ্যেরক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে। উপাদানগুলি প্রাকৃতিক হবার কারণে যেমন সহজলভ্য, তেমনই অত্যন্ত কার্যকরী।
জেনে নেয়া যাক শ্যাম্পুর ১০টি দেশি বিকল্প:
আমলা
আমলা পুষ্টিগুণে ভরপুর; যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া চুলকে মজবুত করে এর উজ্জ্বলতা বাড়ায় আমলা। পানির সঙ্গে আমলা পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আপনার মাথার ত্বকে লাগান। ধুয়ে ফেলার আগে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলা বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়েও লাগাতে পারবেন।
দই এবং লেবু
দই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে, অন্যদিকে লেবু মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে; সঙ্গে খুশকিও দূর করে। দইয়ের সাথে লেবুর রস মিসিয়ে চুলে লাগান, তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
রিঠা এবং শিকাকাই পাউডার
রিঠা এবং শিকাকাই এমন দুইটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বহু শতাব্দী ধরে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রিঠা এবং শিকাকাই পাউডার সমপরিমানে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে শুকানোর পর চুলকে আলতো করে পরিষ্কার করে নিন।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটিকে শুধু তকের যত্নে নয়, চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যায়। মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করতে পারে এই মাটি। পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগান। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন।
ভৃঙ্গরাজ তেল
ভৃঙ্গরাজ চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরানিত করে। নারকেল তেলের মধ্যে ভৃঙ্গরাজ পাতা ফুটিয়ে তেলটি ঠান্ডা করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এছাড়া এই পাতা বেটে রস তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
জবা ফুল
জবার বহুমূখী পুষ্টিগুন চুলের জন্য ত্রানকর্তা। জবা ফুল এবং পাতার পেস্ট বানিয়ে মাথার ত্বক এবং চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে। মাথার ত্বকে এবং চুলে তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত তেলের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে লাগাতে পারলে চুল সতেজ থাকবে।
মেথি বীজ
মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পেস্ট বানিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। মেথি খুশকি নিরাময়ে সাহায্য করে এবং দ্রুত চুলকে বৃদ্ধি করে।
নিম
নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে; যা মাথার ত্বকের যেকোনো সমস্যায় সাহায্য করতে পারে। পানিতে নিম পাতা সিদ্ধ করুন, ঠাণ্ডা হতে দিন, ছেঁকে নিন এবং সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
নারিকেলের দুধ
নারকেলের দুধ চুলকে হাইড্রেট করে। তাজা তাজা নারকেল দুধ তৈরি করে তা আপনার মাথার ত্বক এবং চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।