জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ষণের অভিযোগ করতে বাবার সঙ্গে শনিবার বিকালে থানায় আসে নির্যাতিত এক শিশু। অভিযোগ পেয়েই পুলিশের একাধিক টিম দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। পরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে থানাহাজতে ঢোকানোর সময় অভিযুক্ত যুবককে দেখেই জ্ঞান হারায় শিশুটি। এসময় দ্রুতই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর শিশুটিকে আবার নিয়ে আসা হয় থানায়।
এমন ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানায়। দশ বছর বয়সী এই শিশুটিকে প্রতিবেশী যুবক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মিজানুর রহমান (২২)। তিনি সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে বিভিন্নভাবে ফুঁসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন মিজানুর রহমান। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর আবারো ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন মিজানুর রহমান। এক পর্যায়ে শিশুটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়ভাবে আপোস-রফার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হলে শনিবার বিকেলে সাদুল্যাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা।
সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। এনিয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মিজানুর রহমানকে। রোববার শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে আনার পর তাকে দেখেই শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে তার বাবা এবং নারী পুলিশের মাধ্যমে বুঝিয়ে শিশুটিকে স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।