আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় চার হাজার ৯০০ শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের মেডিকেল লাইসেন্স স্থগিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (১১ মার্চ) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। মেডিকেল স্কুলে ভর্তিতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ধর্মঘটে নেমেছিলেন এই চিকিৎসকরা।
কয়েকদিন আগেই ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে তাদের মেডিকেল লাইসেন্স স্থগিত করার পাশাপাশি জেল-জরিমানাসহ প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলেও সতর্ক করে। কিন্তু ধর্মঘটরত চিকিৎসকরা তা উপেক্ষা করেছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির প্রায় ১২ হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মবিরতিতে চলে যান। এতে বেশ কিছু জরুরি চিকিৎসাসেবা ও অস্ত্রোপচার ব্যাহত হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা চিকিৎসকদের মেডিকেল লাইসেন্স স্থগিত করতে প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার আদেশ অমান্য করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নীতি বিভাগের পরিচালক চুন বাইউং-ওয়াং সাংবাদিকদের বলেন, ৮ মার্চ পর্যন্ত চার হাজার ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও সরকার এর আগে ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের বলেছিল, তাদের লাইসেন্স তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হবে। এই শাস্তির কারণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করতে তাদের কমপক্ষে এক বছর দেরি হবে।
চুন বাইউং-ওয়াং চিকিৎসকদের হাসপাতালে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হওয়ার আগে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কাজে ফিরে গেলে তাদের সুরক্ষা দেবে। সরকার তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ও উন্নত দেশগুলোর তুলনায় রোগীপ্রতি চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় সরকার মেডিকেলে ভর্তির আসন সংখ্যা বছরে তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করতে চাইছে। কিন্তু ধর্মঘটরত চিকিৎসকরা বলছে, এতে মেডিকেল শিক্ষার মানের অবনতি হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।