আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পারাস্য উপসাগরে আটক দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের বিচার বিভাগ। গতকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে এ কথা বলেন।
এ সময় জাহাজটিকে ছেড়ে দেওয়ার খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন সাঈদ খাতিবযাদে। চলতি মাসের শুরুতে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে পারস্য উপসাগর থেকে জাহাজটিকে আটক করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে এ প্রসঙ্গে বলেন, পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত করার কারণে পরিবেশ আইনে আদালতের নির্দেশে জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিচারকেরা। এ বিষয়ে কেবল বিচার বিভাগের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যকেই গুরুত্ব দিতে হবে। অন্য কারো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বিচার বিভাগ বা আদালতের বিষয়।
এর আগে আইআরজিসি’র নৌ শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার হানকুক কেমি নামের একটি জাহাজ সৌদি আরবের জুবাইল বন্দর থেকে ছেড়ে আসে কিন্তু জাহাজ থেকে রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত করছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাহাজে দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের ক্রু ছিলেন এবং তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি আরো তদন্তের জন্য ইরানের বিচার বিভাগের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
জাহাজটিতে সাত হাজার ২০০ টন ইথানল বহন করা হচ্ছিল এবং বর্তমানে সেটি ইরানের বন্দর আব্বাসে আটক রয়েছে।
তথ্যসূত্র: সিজিটিএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।