জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মৃত্যুর ৪ মাস ১৬ দিন আগে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর স্ত্রী মারা গেলে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের প্রায় চার মাস পর কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের (৩ নং ওয়ার্ড) সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর বাড়ির পারিবারিক কবর স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি কালজানি নদীর প্রবল ভাঙ্গনে উক্ত কবরের একপাশ ধসে গিয়ে লাশের একাংশ বেড়িয়ে এলে এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ঢল নামে কবরের পাশে। পরে এলাকাবাসী লাশটি উদ্ধার করে এলাকার সামাজিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করেন।
শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, লাশ পুনরায় দাফনের কাজে তিনি নিজে নিয়োজিত ছিলেন। লাশের গায়ে কোন রকম দূর্গন্ধ তো দূরের কথা কাফনের কাপড়েও কোন পরিবর্তন তিনি দেখেন নি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ৫ মাস পরে এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত। শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, এ রকম অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি কিন্তু আজ আমি নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি তিনি অত্যন্ত দানশীল একজন মহিলা ছিলেন। তার কাছে হাত পেতে কেউ কখনও নিরাশ হন নি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ এএসএম সায়েম কে ফোন করা হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। কোনরুপ সংরক্ষণ মূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০/১৫ দিনের মধ্যেই প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচে যাবার কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।