জুমবাংলা ডেস্ক : দাফনের ২৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের নির্দেশে এক ব্যবসায়ীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
এমদাদুল হক লিপন নামের খুলনার ওই ব্যবসায়ী বিজিএমইএ’র সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর টুটপাড়া কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের উপস্থিতিতে লিপনের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই-তদন্ত) নাজিম উদ্দিনসহ খুলনা সদর থানার পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, কবর থেকে ব্যবসায়ী লিপনের লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আবারো দাফন করা হবে।
বিজিএমইএ সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি এমদাদুল হক লিপন গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে বেড়াতে বের হন। পরে তিন বন্ধু তার পরিবারকে জানান, লিপন গাড়িসহ রূপগঞ্জ থানার ৩শ’ ফিট সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তারা তাকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে জানালে তার বন্ধুরা মরদেহ অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেই হাসপাতাল হতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মর্মে মৃত্যু সনদ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নিহত এমদাদুল হক লিপনের লাশ খুলনায় দাফন করা হয়। কিন্তু লাশের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার না আসায় এবং তিন বন্ধুর কথায় সন্দেহ হলে পরিবারের পক্ষে নিহত লিপনের বড় ভাই এনামুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় নিহত লিপনের তিন বন্ধু এহতেশাম কবীর ওরফে জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুমকে আসামি করা হয়। এরা সবাই খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা হলেও ঢাকায় ব্যবসা ও চাকরির সঙ্গে জড়িত।
এছাড়া, গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহতর মা আনোয়ারা আক্তার, বোন ফেরদৌসী নাহার এবং ভাই এনামুল হক খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অনুরূপ হত্যার অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রশ্ন রাখেন, প্রাথমিকভাবে তাদের জানানো হয় লিপন গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অথচ ডোবা থেকে গাড়ি উদ্ধারের পর লিপনের লাশ গাড়ির পেছনে পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা হলে গাড়িতে থাকা চারজনেরই আহত হওয়ার কথা। অথচ বাকি তিনজনের শরীরে আহতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পানিতে ডুবে মারা গেলে পেট ফুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু লিপনের দেহে তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর ১৫/১৬ ঘণ্টা পরেও তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।
এসব বিষয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হওয়ায় আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।