জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালি নদীতে জেলেদের জালে হাত-পা বাঁধা, মাথাবিহীন লাশটি নিজের দেবরের দাবি করে দাফন করেছেন রেহেনা বেগম নামের এক নারী। এর আগে গত ৩০ জুলাই পাথরঘাটা থানার ফারুক আকন নিখোঁজ মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
দাফনের ৫ মাস পর থানায় জিডির ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গত সোমবার পুলিশ আটক করে ফারুক আকনকে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহবিুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটক ফারুক আকন উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের মৃত হাতেম আলী আকনের ছেলে।
এদিকে, ওই লাশ দাফনের ১৫ দিন পর বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আবদুর রহিম খানের ছেলে মো. সোহেল খানের লাশ দাবি করেন তার মা লাইলি বেগম। লাশের সঙ্গে থাকা সাইকেলের চাবি ও জামা দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করলে পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ মেলে। পরে আদালতের মাধ্যমে লাশ উত্তোলন করে সোহেলের নিজ বাড়িতে নিয়ে পুনরায় দাফন করেন তার পরিবার।
পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফারুক আকনের সঙ্গে প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকাকালীন ওই জমির কাগজপত্র নিয়ে উকিলের পরামর্শ নিতে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা আসার পর থেকে ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তার ভাইয়ের স্ত্রী রেহানা বেগম পাথরঘাটা থানায় জিডি করেন। থানায় অভিযোগের দশ দিন পর বিষখালি নদীতে ওই লাশ পাওয়ার পর তার স্বজনরা লাশটি ফারুক আকনের বলে শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে একই লাশ বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আবদুর রহিম খানের ছেলে মো. সোহেল খানের নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায়।
এরপর পাঁচ মাস পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফারুক আকনকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক সাইদ আহমেদ জানান, সোহেল হত্যার সঙ্গে ফারুক আকনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক ফারুক আকনকে আজ বিকেলে আদালতে তোলা হলে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।