আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দামী-দামী উপহারের দিয়ে গত ১০ বছর ধরে ৫০ জনের বেশি নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। সেই সাথে ধর্ষণের সেই ভিডিও, ছবি তুলে ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করা হচ্ছিল। তবে শেষরক্ষা হলো না।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশে সরকারি প্রকৌশলী। জেরায় নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে সে।
উত্তরপ্রদেশের বান্দা, চিত্রকূট এবং হামিরপুরে একাধিক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের শুরুতে সিবিআইয়ের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল।
অবশেষে ভারতের বান্দা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তারা। জানা গেছে, অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি করে আট লাখ নগদ টাকা, বৈদ্যুতিক গ্যাজেটস, ৮টি মোবাইল, সেক্স টয়েজ, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করার সামগ্রী, একাধিক ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশে সেচ দফতরে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১০ বছরে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় ৫০ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা করেছে সে। এমনকী, সেই ধর্ষণ বা লালসা মেটানোর সেই সমস্ত ভিডিও মোবাইল, ল্যাপটপ বন্দি করত। পরে সেই ছবি, ভিডিও ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করত। এর বিনিময়ে মোটা টাকা পেত অভিযুক্ত।
সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তর ই-মেইল খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে এক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের নাবালিকাদের যৌনতার ভিডিও, ছবি সরবরাহ করত সে। এর বিনিময়ে মোটা টাকাও নিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।