আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা খেয়ে নিজেদের ভুল খুঁজতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নেতারা। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল পাওয়ার পরও বিধানসভায় কেন এমন পরাজয়?
ব্যাখ্যা চেয়ে তাদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলটির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে অতি আত্মবিশ্বাসই বিজেপির পরাজয়ের প্রধান কারণ।
‘এস বার দুশো পার’- স্লোগানটি ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহর মুখে। ‘দিদি আপনি গেছেন, বিজেপি আসছে’ এছাড়াও মোদির মুখে ছিল আরও তীর্যক মন্তব্য। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর মুখে ছিলে আমরা ‘বেগম’ কে হারিয়ে দিয়েছি। বিজেপি নেতাদের এসব কথার বেলুন ভাঙা পা নিয়েই ফুটো করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী একাই। মমতার কট্টর বিরোধিরাও এখন আর তা অস্বীকার করতে পারবেন না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে রাজ্য দখলে ক্ষণ গণনা করছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভার ভোটে জয় পেতে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের কাছে ভিড়িয়ে ঘরের ইঁদুর দিয়ে বেড়া কাটতে চেয়েছিলেন মোদি-অমিত শাহ। তাদের সেই খেলায় হুইল চেয়ারে বসেই গোল দিলেন ৬৬ বছর বয়সী চতুর রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি যে ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্য নেতারা মোদি-অমিত শাহকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন সেটা মুখে না বললেও ভুল খোঁজার কথা স্বীকার করলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপি সভপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা অনেক বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম। হয়তো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু তিনটি সিট থেকে ৭৭/৭৮ সিটে আমরা পৌঁছে গেছি। এটাও একটা ঐতিহাসিক জয়। আগামীতে আমরা জনতার মতকে সম্মান দিয়ে যোগ্য বিরোধী পক্ষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ৫ বছরে ব্যবধানে আরও ৭৩টি আসন বাড়াতে পেরেছে মোদি ব্রিগেড। জয় না পেলেও এককভাবে বিরোধী দল হিসেবে এ আবির্ভাবকে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবেই দেখছে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।