জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের অবিনাশ দেবশর্মা বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। বস্তায় আদা চাষ করলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। আর এতে খরচও কম তাই চাষিরা লাভবান হতে পারেন। ফলে দিন দিন বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
জানা যায়, দিনাজপুরের কাহারোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাদের চাষের জমি নেই তারা বাড়ির আশে-পাশে বা আঙিনায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। বস্তায় আদা চাষ করলে গাছে তেমন কোনো রোগ বালাই হয় না। গাছ হৃষ্টপুষ্ট থাকে। চাষিরা বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের খরচ মিটিয়ে বাজারে আদা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। খরচ কম হওয়ায় এভাবে আদা চাষে ঝুঁকছেন অনেকে।
অবিনাশ দেবশর্মা বলেন, আমার কোনো চাষাবাদের জমি নেই। তাই চাষাবাদের ইচ্ছা থেকে বাড়িতে ৫ শতক জায়গায় ১৭০ বস্তায় আদা চাষ করছি। বস্তা, আদা, জৈব সার, রাসায়নিক ও পরিচর্যা মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর ও জানয়ারী মাসে আদা উত্তোলন করতে পারবো। আশা করছি বস্তা প্রতি ২ কেজি করে আদা পাবো।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সাদেক বলেন, যাদের চাষাবাদের জমি নেই তাদের বাড়ির অব্যবহৃত জায়গায় বা বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আাদ চাষে উৎসহিত করা হচ্ছে। এতে অল্প খরচে কৃষক বেশি লাভবান হতে পারবেন। কাহারোলে ১৫জন বস্তায় আদা চাষ শুরু করলেও দিন দিন এর চাষির সংখ্যা বাড়ছে। আমরা চাষিদের আদা চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।