আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনুমোদনের দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষার পর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের মসজিদটি চালু করা হয়। দীর্ঘকাল যাবত এথেন্স ছিল ইউরোপের একমাত্র রাজধানী যেখানে মুসলিমদের কোনো মসজিদ ছিল না। অটোমান সম্রাজ্যের পতনের পর গত এক শতাব্দিতে এথেন্সে এটিই প্রথম মসজিদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) করোনা মহামারিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদটিতে প্রথম নামাজ শুরু হয় বলে জানায় গ্রিসের সংবাদ মাধ্যম ইকাতিমেরিনি।
মসজিদটির প্রথম ইমাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয় মরক্কো বংশোদ্ভূত গিস নাগরিক জাকি মুহাম্মদ।
গ্রিসের ধর্মবিষয়ক সচিব গিয়রগোস কালান্তজিজ বলেন, ‘মসজিদটি উম্মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শ্রদ্ধাবোধ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রদান করে।’
তিন শ ৫০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মসজিদটিতে মিনার ও গম্বুজ নেই। এটি ইলিওনাসের শিল্প এলাকায় শরণার্থী শিবিরের কাছাকাছিতে অবস্থিত।
১৯৭৯ সাল থেকে অর্থডোক্স চার্চ মসজিদটি উম্মুক্ত করার বিরোধিতা করে আসছে। এরপর ২০০৬ সালে সরকার এবিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০০৬ সালে ১.৪ মিলিয়ন ডলার বাজেটে মসজিদ নির্মাণের অনুমোদনের পরও আমতান্ত্রিক জটিলতা, ডানপন্থীদের বিরোধিতা ও আইনী মোকাবেলার কারণে আরো বিলম্ব হতে থাকে।
গ্রিসের ৯৭ ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠরা অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। মুসলিমরা এখানে সংখ্যালঘু। তুরস্কের সঙ্গে সীমানা হওয়ায় সেখানে মুসলিম কর্মজীবী ও শরণার্থীদের বসবাস আছে। মসজিদ বন্ধ করা সহ ঐতিহাসিক মসজিদগুলো দূরাবস্থায় ফেলে দেওয়া ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ক্ষুন্ন করায় দীর্ঘকাল গ্রিসের সমালোচনা করে আসছে তুরস্ক।
সূত্র : আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।