আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার খবরে উল্লাসে ফেটে পড়লেন সর্বস্ব হারানো গাজাবাসী। বাঁধ ভাঙা উল্লাস করতে দেখা গেছে তাদের। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়।
যুদ্ধবিরতির খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও অন্যান্য এলাকায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। আনন্দে তারা একেঅপরকে জড়িয়ে ধরেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেককে মুঠোফোনে ছবি তুলতে দেখা যায়।
গাজা শহর থেকে ভূখণ্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নুসাইরাত ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত ৪৫ বছর বয়সী রান্ডা সামেহ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুঃস্বপ্ন অবশেষে শেষ হচ্ছে। আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি, আমরা সবকিছু হারিয়েছি।’
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। ঘোষিত যুদ্ধবিরতিতে মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদা বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির কথা জানিয়েছে।
https://inews.zoombangla.com/%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%9f%e0%a7%8d/
যুদ্ধে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির প্রায় প্রতিটি পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। অনেক পরিবার নির্বংশ হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ঘর-বাড়ি, স্কুল-হাসপাতাল এবং রাস্তা-ঘাটসহ নানা অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।